পড়া না পারায় অমানবিক মার শিক্ষকের

স্টাফ রিপোর্টার, মালদহ: পড়া না পারায় চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সুজয় যাদব। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার ইংরেজবাজারের মহেশতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ওই ছাত্র পড়া না পারায় বেধড়ক মারধর করে তার শিক্ষক। এমনকি এই মারধরের কথা বাড়িতে জানানো হলে আরও মারধর করা হবে বলে হুমকি দেয় ওই শিক্ষক।
সেই ভয়ে ছাত্র বাড়িতে কিছু জানায় না। কিন্তু পাঁচ দিন ধরে ওই ছাত্র স্কুলে যেতেই চাইছিল না। স্কুল যাওয়ার জন্য চাপাচাপি করা হলে সে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্কুল কামাই করে যাচ্ছিল। সাধারণত ওই ছাত্রের স্কুলের প্রতি অনীহা না থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের। ছাত্রের বাবা-মা বিষয়টি জানার জন্য চাপ দিতে থাকলে সে এক সময় গোটা ঘটনা বিস্তারিত বলে।
এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের বাবা শঙ্কর ঘোষ।। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশেষ আগ্রহ দেখায় না। তখন ওই ছাত্রের বাবা ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান।
ওই ছাত্রের বাবার দাবি, তাঁর ছেলে আচমকাই স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়। স্কুলের নাম শুনলে একটা আতঙ্কের ছাপ ফুটে উঠত ওই ছাত্রের মুখে। প্রথম দিন বিষয়টায় গুরুত্ব না দিলেও পরে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। ওই ছাত্রকে কেন স্কুল যাচ্ছে না জিজ্ঞাসা করলে সে নানা রকম অজুহাত দিতে থাকে। ঠিক কি কারণে স্কুল যেতে তার অনীহা তা স্পষ্ট করে না।
তখনই পরিবারের সন্দেহ হয় স্কুল যেতে না চাওয়ার নেপথ্যে নিশ্চয়ই বড় কোনও সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে। তখন শঙ্করবাবু তার ছেলেকে গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানাতে বলেন। জানালে তাঁর ছেলের ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেও আশ্বাস দেন তিনি। ওই ছাত্র তার বাবাকে গোটা ঘটনা জানালে হতবাক হয়ে যান শঙ্করবাবু। তিনি জানান, শাসন করা ভাল। কিন্তু শাসন এমন হবে যেখানে শিশুরা বুঝবে তাদের ভুল। তারা যাতে নিজেদের ভুল শুধরে নিতে পারে সেই সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। শাসনের অর্থ কেবল মারধর করা বা ভয় দেখানো নয়।
Comments
Post a Comment