অসীম্ ভালোবাশা।

- অই ছেলে এখানে কি করো? [মেয়ের বাবা]
- না আংকেল কিছু না [সাগরের ফ্রেন্ড]
- কিছু না মানে এখানে ঘুরাঘুরি করছো কেনো?
- ইয়ে মানে আমি নিশির ফ্রেন্ড। নিশির বিয়ে খেতে আসছি?
- অহ্ এই কথা আগে বলবা না।
- আচ্ছা নিশির কাছে যাও।
- হুম যাচ্ছি আংকেল।
- নিশি দরজা খুল? [সাগরের ফ্রেন্ড]
- কে? [নিশি]
- আমি সিফাত [সাগরের ফ্রেন্ড]
- অই তুই এখানে আর অই হারামিটা কই?
- বাড়ির বাহিরে তোর অপেক্ষা করছে চল তাড়াতাড়ি পালাতে হবে।
- হুম চল।
.
কিছুক্ষণ পর রুম থেকে নিশির মায়ের চিৎকার নিশি রুমে নাই নিশি পালাইছে।
.
এতক্ষণে সিফাত নিশিকে নিয়ে চলে এসেছে সাগর নিশি ও সিফাত এতক্ষনে গ্রাম থেকে ডাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছে। সাগর আর নিশি বাসের ছিটে বসে ভাবছে তাদের আগের সেই প্রেমের দিন ঘুলির কথা। তখন তাদের মনে কোনো ভয় ছিলো না প্রেম করতে কিন্তু আজ তাদের অনেক ভয় হচ্ছে।
.
তার পরো নিশি আজ খুশি আজ সে সাগর কে জীবন সংগী ফেয়েছে। আজ সে কেনো জানি ইচ্ছা চারাই বারবার সাগরের কাদে মাথা রেখে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলছে। সাগরের বারবার মনে হচ্ছে নিশির সাথে সেই কলেজ কেম্পাসে প্রথম দেখার কথা। সেদিনি নিশিকে সে ভালোবেসে ফেলেছিলো কিন্তু ভালোবাসার কথাটা নিশিকে বলতে টাইম লেগেছিলো এক বছর। কথা টা ভাবতেই সাগরের লজ্জা লাগছে।
.
- কিরে একা একা হাসছিস কেনো [নিশি]
- তোকে ভালোবাসি কথাটা বলতে এক বছর টাইম নিয়ে ছিলামম এটা ভেবে।[সাগর]
- হে হে তুই এই রকম ভিতু আর বোকা বলেই সেদিন আমি রাজী হয়েছিলাম।
- তাই নাকি।
- আমার বিশ্বাস ছিলো তোর মতন বোকা ছেলে আমায় ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসতে পারিস না। যানতাম তুই শুধুই আমায় ভালোবাসবি।
.
কথা গুলি বলার সাথে সাথে সাগরের চোখ বেয়ে জল পরতে শুরু করে দিলো।
- এই বোকা আমাকে ছেড়ে যাবিনাতো কখনো?
.
কথাটা বলেই নিশি কাদঁতে কাঁদতে ঝরিয়ে দরলো সাগরকে।
- নিশি কি করছিস বাসে অনেক মানুষ দেখছে তো?
- দেখোক আমি তোকে ছাড়বো না, বল মরলেও আমাকে সাথে নিয়ে মরবি।
- দোর বোকা কি বলছিস এসব একটু পর আমরা ঢাকা যেয়ে বিয়ে করবো না?
- বিয়ে করবো তো।
- নিশি মনে আছে সেই দিনগুলির কথা?
- হুম আছে তো তুই আমার জন্য প্রতিদিন একটা করে চকলেট নিয়ে আসতি।
- আর তুই আমার জন্য যে প্রতিদিন টিফিন নিয়ে এসে নিজ হাতে খাইয়ে দিতি সেটা কি?
.
এতক্ষনে নিশি সাগরের বোকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছে। বাহিরের আলতু বাতাসে নিশির চোল গুলি এসে সাগরের মুখে এসে পরছে।
সাগর এই দৃশ্য টা বার বার দেখছে আর ভাবছে তারা একটু পর ঢাকা গিয়ে বিয়ে করবে। তারা নতুন একটা বাসা নেবে। কয়েক দিন পর তাদের খুল উজার করে একটা ফোটফুটে বাচ্ছা হবে আর তখন তাদের খুশি দেখে কে। এসব ভাবতে ভাবতেই কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে।
.
হঠাৎ সিফাত এসে ডাক দিলো।
.
- সাগর বাস এখানে বিশ মিনিট দাঁড়াবে চল বাহির থেকে ঘুরে আসি।
- হুম চল।
.
বাহির থেকে হাল্কা নাস্তা করে আবার এসে বাসে উঠলো সাগর আর নিশি পাসের সিটে সিফাত ঘুমাচ্ছিলোম
কিন্তু নিশি আর সাগরের ঘুম আসছিলো না।
তারা শুধু তাদের ফেলে আসা সেই দিন গুলির কথা ভাবছিলো।
বার বার নিশির মনে পরে যাচ্ছিলো সেই কলেজ কেম্পাসের কথা যেখানে তার কত মজাই না করেছে।
.
- মনে আছে তোর আমাদের ঘুরতে যাবার কথা? [নিশি]
- হুম সেটা কি ভুলতে পারি। যেখানেই গেছি বাচ্চাদের মতো তোর আবদার ফোচকা খাবি [সাগর]
- আর তুই কি করতি বাচ্ছাদের মত জেদ করে বসে থাকতি আমি না খাইয়ে দিলে খাবি না।
- আরে সেটা কেনো করতাম বুঝিস না।
- হুম বুঝিতো যত্ত সব ডং।
- শুন আমি কিন্তু বাচ্ছার দেখাশুনা করতে পারবো না যা করার তোকেই করতে হবে।
- সাগর মানে কি এসবের? আমরা আগে বিয়েতো করি। তারপর দেখা যাবে।
- তার পর কি?
.
- আগে আমরা একটা ছোট্ট বাসা নিবো আমাদের একটা সংসার হবে তার পর না হয় বাচ্ছা।
- না আগে বাচ্ছা তার পর সংসা, আর ছোট বাসা নিবো কেন।
- আমাদের কি টাকা আছে যে বড় বাসা নিবো?
- আমরা দুজন টিউশনি করলে হয়ে যাবে। আর আমি কিন্তু বাচ্ছা চাই?
- এখন কিন্তু মার খাবি?
- কেনো মার খাবো?
- এইজে বাচ্ছা বাচ্ছা করছিস এই জন্য।
- আরে বোকা মেয়ে ফাজলামি করছিলাম।
- তুই পারিশো সব সময় ফাজলামি তোর সাথে আমার আর কোনো কথা নাই থাক তুই বাচ্ছা নিয়ে।
- আহারে সোনা রাগ করতেছো কেনো? একটু পাজলামি করছিতো কি হইছে?
.
- কথা বলতে না করছিনা।
- তাহলে আমি চলতি বাস থেকে লাফ দিয়ে মরে যাই।
- এই কথা আর কখনো বলবি না।[এই কথা বলতে বলতে নিশি সাগরের মুখ চেপে ধরলো]
- আচ্ছা ঠিক আছে বলবো না। কিন্তু আমার মুখ থেকে তোর হাতটাতো সরা।
- না সরাবো না।
- তাহলে আমার বোকে আয়।
- অই হারামি কি করছিস দেখছেতো মানুষে।
- আরে এসব কিছু না। আর আমরা প্রেমিক না।
- হইছে আপনার প্রেম রাখেন এখন আর আমাকে একটু ঘুমাইতে দেন রাতে আপনার চিন্তাই ঘুমাই নি।
- আচ্ছা তাহলে আমার বোকে মাথা রেখে ঘুমান।
- হুম ঘুমাইতেছি আর আপনেও ঘুমান।
.
সাগর আর নিশি কথা বলতে বলতে কখন যেনো ঘুমিয়ে পরলো।
.
কিছুক্ষন যাবার পর হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজে তাদের ঘুম ভাঙলো। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখে সাগর নিশির কপাল বেদ করে একটা গ্লাস এসে তার বোকে বিদে আছে।
নিশি কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে পারছে না।
সাগর একটু নড়বার চেষ্টা করলো দেখলো সামনের সিটের একটা রড এসে তার বোকে বিদে আছে। নিশি আর সাগরের রক্তে সব একাকার হয়ে যাচ্ছে তারা বুঝতে পারছে আর হয় তো তাদের ঢাকা যাওয়া হবে না। করা হবেনা বিয়ে। এটাই হয়তো নিয়তির লিখন ছিলো। তারা একে অপরকে ঝরিয়ে দরে পরপারে চলে গেলো। চারিদিখে হাহাকার সব যেনো কিছুক্ষণের জন্য নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। পাখিরাও যেনো আজ বোবা হয়ে গেছে। আকাশ বাতাস যেনো আজ গলা ছিঁড়ে গাইতে চাচ্ছে নচিকেতার সেই গানটি।
.
কেনো এরকম কিছু হলো না কেউ কাউকেই ছুতে পেলোনা

Comments

Popular posts from this blog

"অচেনা মেয়ে" -(Deshi Hub)

3 Ways To Impress Your Crush.

স্ত্রীকে গোপনাঙ্গে বিদ্যুতের শক, এ ভাবে খুন করলেন স্বামী!